বাংলাদেশের ফল পরিচিতি সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু আলোচনা
আপনি কি বাংলাদেশের ফল পরিচিতি সম্পর্কে জানতে চান? আপনি যদি না জেনে থাকেন
বাংলাদেশে কি কি ফল পাওয়া যায় তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য ।আমার এই
আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বাংলাদেশে কি কি ফল পাওয়া যায়।
এছাড়াও আপনি আরো জানবেন বর্তমানে বাংলাদেশে বারো মাস পাওয়া যায় এমন কিছু ফল
সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেই বাংলাদেশের ফল পরিতিচি সম্পর্কে বিস্তারিত কিচু
কথা।
ভূমিকা:
বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ ফল উৎপাদনের জন্য প্রথম সারিতে রয়েছে। বাংলাদেশে বিভিন্ন
মৌসুমে বিভিন্ন ধরনের ফলের উৎপাদন হয়। প্রায় সারা বছরই আমরা অনেক ধরনের ফল
পেয়ে থাকি। বাংলাদেশ একটি আদর্শ উষ্ণমণ্ডলীয় দেশ হওয়ায় প্রায় ১৩০ প্রজাতির
ফল দেখা যায় ।প্রায় ৭০ ধরনের ফলের চাষাবাদ এই দেশে হয়ে থাকে ।আজকে আমরা
বিস্তারিতভাবে বাংলাদেশের ফল সম্পর্কে জানব।
বর্তমানে বাংলাদেশে কি কি ফল পাওয়া যায়
- আম:আম হচ্ছে বাংলাদেশে অত্যন্ত একটি জনপ্রিয় ফল।স্বাদ,পুষ্টি ও গন্ধে এটি অতুলনীয়।
- কাঁঠাল: কাঠাল বাংলাদেশের জাতীয় ফল হিসেবে পরিচিত। এই ফলের প্রতিটি অংশ খাদ্য হিসেবে পাওয়া যায়।
- পেয়ারা: বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সকল সিজনে আমরা পেয়ারা পেয়ে থাকি।
- তরমুজ: তরমুজ হচ্ছে ফলেদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তরমুজের রং ভেতরে লাল এবং বাইরে সবুজ।
- লিচু: লিচু এক ধরনের ছোট ফল। এটি খুব স্বল্প মেয়াদ একটি ফল যা আমরা গ্রীষ্মকালে পেয়ে থাকি।
- আরো নানা ধরনের ফল রয়েছে যেমন সফেদা,আমরা,জাম ইত্যাদি।
বাংলাদেশে কত জাতের ফল আছে
বাংলাদেশে ১৩০ টি জাতির ফল রয়েছে। এই ফলগুলোর মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১২ প্রজাতির
ফল বেশি পাওয়া যায়। বাংলাদেশের ফল গুলোর প্রধান ফলগুলোর চাষ বাণিজ্যিকভাবে করা
হয়। যার মধ্যে আমরা উল্লেখ করতে পারি কাঁঠাল,কলা,পেয়ারা, নারিকেল,পেঁপে,তরমুজ
এবং বিভিন্ন ধরনের লেবু ইত্যাদি।
বর্তমানে ফল উৎপাদন বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হাড়ের রেকর্ড বাংলাদেশের কাছে
রয়েছে।প্রায় প্রতি বছরের সাড়ে এগারো শতাংশ হারে ফলের উৎপাদন বেড়ে
চলেছে।বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী প্রায় 25 থেকে 30 জাতের বিদেশী ফল আমদানি করা
হয় বাংলাদেশে ।
বাংলাদেশে কোন ফলের জাত বেশি?
বাংলাদেশে আম ও কাঁঠাল ফলের জাত বেশি আম হচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি উৎপাদনশীল
ফল আর কাঁঠাল হচ্ছে আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় ফল।নিচে কাঁঠাল ও আমের জাত সম্পর্কে
বলা হলো
- কাঁঠাল : কাঁঠাল হলো বাংলাদেশের জাতীয় ফল বাংলাদেশের প্রায় চার জাতের কাঁঠাল পাওয়া যায় এর মধ্যে দুইটি জাত হচ্ছে গলা এবং খাজা কাঠাল। রস কাঁঠাল এগুলোর মাঝামাঝি বৈশিষ্ট্য ধারণ করতে পারে ।
বাংলাদেশে আরো বেশ কিছু ধরনের কাঁঠাল রয়েছে যেগুলোর মধ্যে বারোমাসি,গোলাপ গঙ্গা,
রুদ্রাক্ষের, পদ্মরাজ প্রভুতি উল্লেখযোগ্য। এগুলোর মধ্যে শুধুমাত্র হাজারি কাঁঠাল
বাংলাদেশের রয়েছে।
- আম: বাংলাদেশে প্রায় অনেক ধরনের আমের জাত রয়েছে বলা যেতে পারে এ আমের জাতের সংখ্যা হতে পারে কয়েকশো তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য আম হচ্ছে ফজলি ল্যাংড়া গোপালভোগ খিরসা বাদ অরুনা আমরুপালি হাড়িভাঙ্গা ত্রিফলা তোতাপোলি সহ্য করি লকনা কলাবতী আম ইত্যাদি।
শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর যতগুলো মিষ্টি আম রয়েছে তাদের মধ্যে হিমসাগর বা
ক্ষীরসাপাত আম অন্যতম ।এছাড়াও হিমসাগর আমকে আমের রাজা বলা হয় এটি চাষ করা হয়
মালদা হুগলি এবং মুর্শিদাবাদে।
বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে কি কি ফল পাওয়া যায়
বাংলাদেশের ফল এর প্রায় সব ধরনের ফলই গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায়। যেই ফলগুলো
স্বাদ এবং গ্রীষ্মকালের আনন্দ বয়ে নিয়ে আসে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু ফল
হচ্ছে কাঁঠাল,লিচু,তরমুজ,বেল তাল ইত্যাদি।
- লিচু গ্রীষ্মকালীন ফল যা খুব মিষ্টি এবং রসালো হয়ে থাকে।
- কাঁঠাল একটি বড় এবং মিষ্টি জাতীয় ফল।
- তাল আমাদের দেহে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স এর আধার।।
- তরমুজ এমন একটি ফল যা শরীরে ক্লান্তি দূর করে এবং ৯০% পানি সরবরাহ করে।
- বলা যেতে পারে গ্রীষ্মকালের প্রায়ই সব ফল আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী।
বাংলাদেশের শীতকালীন ফল
বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় শীতকালীন ফল হচ্ছে সাকালু এবং সবেদা।শীতকালীন
এই ফলগুলো খেতে যেমন ভালো তেমনি পুষ্টিকর।এছাড়াও বাংলাদেশে শীতকালে আরো অনেক
ধরনের ফল পাওয়া যায়। আপেল,কমলা,লেবু,পেয়ারা, ফুটি, আঙ্গুর, ডালিম সহ নানা
ফলের মেলা বসে থাকে দোকানে এবং বাজারে।
এছাড়াও এই ঋতুতে বড়ই, জলপাই আরো নানা টক ফলের দেখা পাওয়া যায়। এই ফলগুলো
আমাদের দেহে ভিটামিন সি সরবরাহ করে থাকে।শীতকালীন ফল জলপাইয়ের পাতা এবং ফল
দুটোই অনেক উপকারী। শীতকালীন ফলগুলো আমাদের বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই থেকে দূরে
রাখে।
বাংলাদেশে বারোমাসি ফল
বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের বারোমাসি ফলে গাছ রয়েছে ।যেগুলো প্রায় আমাদের বারো
মাসে ফল দিয়ে থাকে ।বারোমাসি ফলগুলো আমরা খুব সহজে বাসা বাড়িতে কিংবা ছাদের
উপরে টবে লাগাতে পারি। বাংলাদেশে কিছু বারোমাসি ফলের নাম নিচে উল্লেখ করা হলো:
মিষ্টি তেতুল, মিষ্টি আমড়া,বাড়ি কামরাঙ্গা,মিষ্টি কামরাঙ্গা,লেবু এগুলো আমাদের
ভিটামিন সেই সরবরাহ করে থাকে। এছাড়াও আরো ফল রয়েছে যার মধ্যে সবেদা, শরিফা ফল
।কিছু কিছু পেয়ারার গাছ আছে যেগুলো আমরা বারো মাসে পেয়ে থাকি। এছাড়াও এমন
কিছু আমগাছ রয়েছে যেগুলো আমরা বারোমাসি চাষ করতে পারি এবং ফল পেয়ে থাকি।
এছাড়াও আমরা বারোমাসিক ফল হিসেবে মালটা, ড্রাগন,জামরুল,জাম্বুরা দেখে থাকি।
লেখকের মন্তব্য
আপনারা নিশ্চয়ই বাংলাদেশের পরিচিতি সম্পর্কে জানতে পেরেছেন ।বাংলাদেশের কোন
সিজনে কোন ফল পাওয়া যায়, কত জাতের ফল রয়েছে এবং কোন ফলের জাতের সংখ্যা বেশি
সে সম্পর্কে আপনারা আজকের এই আর্টিকেলটিতে জানতে পেরেছেন।
এছাড়াও আজকের এই আর্টিকেলটিতে আরো ছিল বাংলাদেশের বারোমাসি ফল সম্পর্কে কিছু
তথ্য। আপনাদের যদি আমার এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে
শেয়ার করবেন এবং আরো বিভিন্ন তথ্য জানতে আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট
করবেন। “ধন্যবাদ”।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url